#বাড়িওয়ালার_দুষ্টু_মেয়ে
(৩য় পার্ট)
Writer:- SA Shaheen Alam
.
.
আমি কড়া গলায় আঙ্কেলকে
বললাম,
.
-- মিথ্যে কেন বলছেন, আঙ্কেল.? আমাকে কি আপনার বোকা মনে হয়.?
সত্যি করে বলুন, আমার মতো অপরিচিত একটা ছেলেকে দিয়ে আপনার মেয়েকে কেন পড়াতে চাইছেন.?
আপনি যদি না বলেন তাহলে আমি
কিন্তু চলে যাবো বলে দিলাম.!
আপনার বাড়িতে থাকার আমার
দরকার নেই।
.
আমার কথা শুনে আঙ্কেল কিছু বলল না। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। আমি আর কথা বাড়ালাম না।
উল্টো পথে হাটা ধরলাম।
হটাৎ আঙ্কেল আমার হাত টেনে ধরলো।
করুণ স্বরে বলল,
.
-- যেও না বাবা, আমি বলছি।
.
তারপর আঙ্কেল যা বললেন তা শুনে
আমার মাথা চক্রর দিল।
ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল।
আঙ্কেল বললেন,
.
-- আসলে বাবা, আমার মেয়েটা না খুব দুষ্টু.!
পড়ালেখা একদম করতে চায় না।
সারাদিন শুধু এর-ওর সাথে
শয়তানি, দুষ্টুমি, মারামারি করে বেড়ায়।
বই হাতেই নেয় না। ওকে পড়ানোর জন্য যতগুলো টিচার রেখেছিলাম সবাই একে একে চলে গেছে।
যাবার আগে বলে গেছে, "আপনার এমন বুদ্ধিমতি মেয়েকে আমার দ্বারা পড়ানো সম্ভব না।"
আমি জানি এসবের পিছনে আমার মেয়ের-ই হাত রয়েছে। আমার মেয়েই কিছু একটা করে সব টিচারদের চলে যেতে বাধ্য করছে।
.
আঙ্কেলের এসব কথা শুনে আমি একদম
হা হয়ে গেলাম।
মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হলো না।
শুধু নির্বাক দৃষ্টিতে আঙ্কেলের
দিকে তাকিয়ে রইলাম।
আঙ্কেল আমার দিকে তাকিয়ে একটা
দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।
বিরস গলায় বললেন,
.
-- একমাত্র মেয়ে বলে ওকে কিছু বলতেও
পারি না। কিছু বললেই গাল ফুলিয়ে
বসে থাকবে, কারো সাথে কথা বলবে না।
কি করবো বলো... বেশি আদর দিয়ে দিয়ে
একেবারে মাথায় তুলে ফেলেছি।
আমার একটা কথাও শোনে না।
তবে একটা কথা কি জানো বাবা, আমার
মেয়েটা দুষ্টু হলেও, ও কিন্তু খুব ভালো।
ওর মনে কোনো প্যাচ নেই।
যা বলার সরাসরি বলে দেয়।
নিজের মেয়ে বলে বলছি না, আমার মেয়েটা
আসলেই খুব ভালো।
শুধু একটু দুষ্টু.!
.
কথাগুলো বলে আঙ্কেল একটু থামলো।
কিছুক্ষণ থেমে আঙ্কেল আবার
বলা শুরু করলো,
.
-- দেখো বাবা, আমি তোমার ভালোর
জন্যই আমার মেয়েকে পড়াতে বলেছি।
তুমি শহরে নতুন এসেছো, এখানে কাউকে
চিনোও না।
আবার থাকার জন্য বাড়িও খুজে পাও নি।
তাই ভাবলাম, তোমাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাই। তুমি আমার বাড়িতে থাকবে আর তার পাশাপাশি আমার মেয়েকে পড়াবে। এখন বলো তোমার কি মত.?
সিদ্ধান্ত তোমার হাতে। যদি আমার মেয়েকে পড়াও তাহলে তোমার- ই লাভ। ভেবে দেখো...
.
আমি আঙ্কেলের এসব কথা শুনে চিন্তায়
পড়ে গেলাম।
ভাবতে লাগলাম, "এখন কি করবো.? আঙ্কেলের দুষ্টু মেয়েটাকে পড়াবো নাকি মানা করে উল্টো পথে হাটা ধরবো.?"
আমি কোনো উপায় খুজে পেলাম না। প্রথমে ভেবেছিলাম, "মেয়েটাকে পড়াবো কিন্তু যখন শুনলাম মেয়েটা দুষ্টু, ফাজিল, শয়তান তখন থেকে পড়ানোর মন উঠে গেছে।"
.
মনে মনে চিন্তা করলাম, "না, জানি আগের টিচারগুলোর সাথে মেয়েটা কি কি করেছে.!
সেসব যদি আমার সাথে করে তখন কি হবে.?
আমি তো এমনিতেই আবার মেয়েদের ভয় পাই। ধুররউ.! কি যে করি এখন.?
এসব ভাবতে ভাবতে আমার মাথার
চুল উঠে যাবে দেখছি।"
.
আবার ভাবলাম, "আমি যদি মেয়েটাকে না পড়াই তাহলে আঙ্কেল তো আমাকে বাসা ভাড়া দিবে না। তখন থাকবো কোথায়.?"
শেষ পর্যন্ত সিন্ধান্ত নিলাম মেয়েটাকে পড়াবো।
পরে যা হবার হবে। কিন্তু তারপরও মনের ভিতর কু ডাকতে লাগলো।
একটা অজানা ভয় মনের ভিতর
কাজ করতে লাগলো।
কেন জানি মনে হলো খুব শিঘ্রই আমার
সাথে খুব খারাপ কিছু হতে চলেছে.!
.
আমি এসব ভেবে মাথা চুলকাতে চুলকাতে
আঙ্কেলের দিকে তাকালাম।
আঙ্কেলও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
উনার চোখে-মুখে ক্লান্তি আর হতাশার ছাপ।
আমি আঙ্কেলকে কিছু বলতে যাবো তার
আগেই উনি বললেন,
.
-- কি সিন্ধান্ত নিলে.?
.
আমি কিছু বললাম না। আবার মাথা
চুলকাতে থাকলাম। আঙ্কেল আমার দিকে
তাকিয়ে ম্লান গলায় বললেন,
.
-- আমার বাড়িতে যাবে
কিনা, বলো.?
.
আমি ধীর গলায় বললাম,
.
-- না মানে, ভাবছি।
.
-- এখানে এত ভাবার কি
আছে.?
.
-- না, মানে আপনি বললেন না... আপনার
মেয়ে খুব দুষ্টু।
এর আগে যতগুলো টিচার পড়াতে এসেছিলো
সবগুলোকে সে তাড়িয়ে দিয়েছে।
.
-- হ্যা, তো.?
.
-- তাহলে আমাকে যে তাড়িয়ে দিবে
না তার কি গ্যারান্টি আছে.?
.
-- আরে, গ্যারান্টি আমি তোমাকে দিচ্ছি।
ওসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।
তুমি শুধু বলো, আমার মেয়েকে
পড়াবে কিনা.?
.
-- ঠিক আছে, আমি আপনার মেয়েকে
পড়াবো। (মুখ ভার করে)
.
-- আমি জানতাম তুমি
রাজি হবে।
.
-- হুমম, তবে আরেকটা
কথা ছিল।
.
আঙ্কেল ভ্রু-কুঁচকে বললেন,
.
-- আবার কি.?
.
আমি আমতা আমতা করে
বললাম,
.
-- ইয়ে মানে... আমার বেতনটা.!
.
আমার কথা শুনে আঙ্কেল
সামান্য হাসলেন।
বললেন,
.
-- বেতনের চিন্তা করতে হবে না।
ওটা সময় মতো পেয়ে যাবে।
তাছাড়া আমি জানি, তুমি ঢাকাতে কাজের
জন্য এসেছো। তোমার টাকার দরকার।
তুমি কোনো চিন্তা করো না, আমি তোমাকে টাকা দিবো কিন্তু আমার মেয়েকে ভালো করে
পড়াতে হবে।
.
-- আমি আমার যথাসাধ্য
চেষ্টা করবো।
.
-- হুমম। এখন চলো।
.
-- ঠিক আছে, চলেন।
.
আমি আর আঙ্কেল উনার বাড়ির দিকে
রওনা দিলাম।
প্রায় ২০ মিনিট হাটার পর একটা বিশাল
বাড়ির সামনে এসে পৌছালাম।
আঙ্কেল আমার কাঁধে হাত দিয়ে
বললেন,
.
-- এটাই হলো আমার বাড়ি.!
.
আমি বাড়িটার দিকে তাকালাম। কি সুন্দর বাড়ি.! রাতের বেলাতেও পুরো বাড়িটা চকচক করছে।
চোখ জুড়িয়ে গেল আমার.!
আমি আঙ্কেলের দিকে চেয়ে
বললাম,
.
-- খুব সুন্দর.!
.
-- হুমম। চলো, ভিতরে চলো।
.
-- জ্বি।
.
আঙ্কেল গেট খুলে আমাকে বাড়ির ভিতরে
নিয়ে গেল।
তারপর দরজার সামনে গিয়ে কলিংবেল
বাঁজালো। মিনিট দু'য়েক পর একজন
মহিলা এসে দরজা খুললো।
বুঝতে বাকি রইলো না, এটা আঙ্কেলের স্ত্রী মানে আমার আন্টি.!
আন্টি দরজা খুলেই হুংকার দিয়ে
বললেন,
.
-- এখন বাড়ি ফেরার সময় হলো
তোমার.? রাত্রির ক'টা বাঁজে সে হুশ আছে
তোমার.?
.
আন্টির এমন ভয়াবহ রুপ দেখে আঙ্কেল ভয়ে
কাচুমাচু হয়ে গেল।
আমিও কিছুটা ভয় পেলাম।
আঙ্কেলের চুপ থাকা দেখে আন্টি
আবার বললেন,
.
-- কি হলো কথা বলছো না কেন.?
এত রাত অব্দি কোথায় ছিলে.?
.
আঙ্কেল মিনমিনে গলায়
বলল,
.
-- একটা জরুরি কাজে আটকা পড়ে
গেছিলাম, তাই দেরি হয়ে গেল।
.
-- তাহলে তোমার জরুরি কাজ ফেলে
বাড়ি আসলে কেন.?
সারা রাত কাজ-ই করতে। (প্রচন্ড রেগে)
.
-- আরে, তুমি এই সামান্য বিষয় নিয়ে এত
রেগে যাচ্ছো কেন.?
.
-- কি এটা সামান্য বিষয়.? আরে রাত্রির ১টা বাঁজে আর তুমি এখন বাড়ি ফিরলে। আবার এসে বলছো, এটা তোমার কাছে সামান্য বিষয়.?
বলি, কোন হাতি মারা কাজ করলে যে
বাড়ি ফিরতে এত রাত হলো।
.
আঙ্কেল, আন্টির কথার জবাবে কিছু বলল না।
চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো। আন্টি আরো কিছু বলতে যাবে হটাৎ উনার চোখ আমার দিকে পড়লো।
আমি যে এতক্ষণ ধরে এখানে দাঁড়িয়ে আছি আন্টি সেটা খেয়াল- ই করেন নি।
আন্টি কিছুক্ষণ ভ্রু-কুচকে, এক দৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
তারপর আঙ্কেলকে বললেন,
.
-- এই ছেলেটা কে.?
একে তে ঠিক চিনলাম না।
.
আঙ্কেল এবার হাসিমুখে
বললেন,
.
-- ওর নাম হলো শাহিন। ঢাকা শহরে নতুন এসেছে। এখানে ওর কেউ নেই। বাসা ভাড়া পাচ্ছিল না তাই আমাদের বাড়িতে নিয়ে এলাম।
এখন থেকে শাহিন আমাদের বাড়িতেই
থাকবে আর আমাদের মেয়েকে পড়াবে।
.
আঙ্কেলের কথা শুনে আন্টি আবার
আমার দিকে তাকালেন।
সাথে মিষ্টি একটা হাসি দিলেন।
তারপর আঙ্কেলকে বললেন,
.
-- তুমি আমাকে আগে বলবে না.!
এসো বাবা, ভিতরে এসো.!
.
-- জ্বি, আন্টি।
.
আমি আর আঙ্কেল ঘরের ভিতরে প্রবেশ
করলাম। আন্টি আমাকে সোফায়
বসতে দিলেন।
তারপর আঙ্কেল আর আন্টি অন্য ঘরে
চলে গেলেন। আমি চুপচাপ সোফার উপর বসে থাকলাম।
কিছুক্ষণ পর আন্টি এসে
বললেন,
.
-- তোমার ব্যাগ-পত্র নিয়ে আমার সাথে
এসো, বাবা।
.
আমি কোনো কথা না বলে আন্টির সাথে
যেতে লাগলাম।
আন্টি আমাকে দো'তলার কোণের
একটা রুমে নিয়ে গেলেন।
আমি রুমটা ভালো করে দেখতে লাগলাম।
যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে রুমটা
অনেক বড় তবে একটু অগোছালো।
আন্টি সামান্য হেসে আমাকে
বললেন,
.
-- বাবা শাহিন, এটা তোমার রুম।
আজ ধেকে তুমি এখানে থাকবে।
.
-- ঠিক আছে, আন্টি।
.
-- হুমম। এখন যাও ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ
হয়ে আসো।
ততক্ষণে আমি রুমটা একটু পরিষ্কার করি।
আসলে অনেক দিন ধরে রুমটাতে
কেউ থাকে না তো তাই ময়লা
জমে গেছে, অগোছালো দেখাচ্ছে।
সময়ের অভাবে পরিষ্কারও করা হয় না।
তাছাড়া আমি জানতামও না যে তুমি আসবে।
জানলে আগে থেকেই সব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
করে রাখতাম।
.
-- সমস্যা নেই, আন্টি। আমি থাকতে
পারবো।
.
কথাটা বলে আমি ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে
গেলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি আন্টি
বিছানা ঠিক করছে।
আমি কিছু না বলে পাশেই একটা
চেয়ারের উপর বসলাম।
আন্টি বিছানা ঠিক করতে করতে
বললেন,
.
-- তা বাবা, তোমার মা-বাবা
কি করে.?
.
আন্টির কথা শুনে আমি মুখ ভার
করে বললাম,
.
-- আমার মা-বাবা বেঁচে নেই, আন্টি।
আমার বয়স যখন পাঁচ বছর
তখন উনারা মারা গেছেন।
.
-- ওহ্, স্যরি। আমি আসলে বুঝতে পারি নি।
তোমাকে মনে হয় কষ্ট দিয়ে ফেললাম।
.
-- না, না... আন্টি, কষ্টের কি আছে।
আল্লাহ্ যা করে ভালোর জন্যই করে।
.
-- হুমম, ঠিক বলেছো।
.
কথাটা বলে আন্টি আবার উনার কাজে
মন দিলেন। মানে বিছানা ঠিক করতে লাগলেন। বিছানা ঠিক করা শেষ করে
আন্টি বললেন,
.
-- বাবা, তুমি কাপড় পাল্টে নিচে
আসো... আমি খাবার দিচ্ছি।
.
-- না, না আন্টি... এখন আর
কিছু খাবো না।
.
-- সে কি বাবা, খাবে না
কেন.?
.
-- আমি রাতের খাবার বাইরে খেয়েছি।
পেট ভরা আছে।
তাছাড়া এত রাতে খেতেও ইচ্ছা করছে না।
সারাদিন অনেক ধকল গেছে
তো, খুব ঘুম পাচ্ছে।
.
-- ওহ্, ঠিক আছে বাবা, তুমি তাহলে ঘুমাও।
আমি যাই।
.
-- আচ্ছা, আন্টি।
.
তারপর আন্টি চলে গেল। আন্টি চলে যেতেই
আমি বিছানায় গা হেলিয়ে দিলাম।
সারাদিন অনেক দৌঁড়াদৌড়ি করতে হয়েছে।
প্রচুর ধকল গেছে শরীরের উপর।
শরীরটা কেমন জানি ম্যাজম্যাজ করছে।
আমি চোখ বন্ধ করতেই ঘুমের রাজ্যে
হারিয়ে গেলাম।
.
.
.
সকালবেলা ঘুম ভাঙলো অনেক দেরিতে। চোখ কচলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮:৩৫ বাঁজে।
আমি শোয়া থেকে উঠে জানালার পাশে গিয়ে
দাঁড়ালাম। জানালার পর্দা সরাতেই সকালের মিষ্টি রোদের আলো মুখে এসে পড়লো।
আমি চোখ বন্ধ করে মিষ্টি রোদের আলো
গা'য়ে মাখতে লাগলাম।
.
কিছুক্ষণ রৌদ্রস্নান করার পর ওয়াশরুমে
ফ্রেশ হতে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে হাই তুলতে তুলতে
নিচে নামলাম। নিচে এসে দেখি কেউ নেই।
শুধু রান্নাঘর থেকে টুকটাক শব্দ শুনতে পেলাম। বুঝতে পারলাম আন্টি রান্না করছে।
ভাবলাম, একা একা বসে না থেকে
বাড়িটা একটু ঘুরে দেখি।
.
আমি কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক তাকিয়ে হাটতে হাটতে ছাদে গেলাম। ছাদে গিয়ে তো একদম হা হয়ে গেলাম.!
কি সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ.! চারিদিক ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে.!
আমি চোখ বন্ধ করে ফুলের সুভাস নিতে
লাগলাম।
হটাৎ কারা যেন চিৎকার-চেঁচামেচি
শুরু করলো। আমি চমকে উঠলাম.!
চিৎকার-চেঁচামেচিগুলো সব নিচে থেকে
আসছিল।
.
কারা চিৎকার করছে সেটা দেখার জন্য আমি ধীরে ধীরে একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
ছাদের রেলিং ঘেষে দাঁড়ালাম।
নিচে তাকিয়ে দেখি..... ??????
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
চলবে.....?????
.
#প্রেম_বিশেষজ্ঞ
.
গল্পটা কেমন হচ্ছে কমেন্টে জানান।
ধন্যবাদ.!
হ্যাপি রিডিং... ♥♥♥
0 Comments